গাইবান্ধায় এমপি লিটন, নেওয়া হচ্ছে আদালতে
শিশু সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা (ডিবি) তাঁকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এখান থেকে তাঁকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে নেওয়া হবে।
urgentPhoto
এর আগে গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর লিটনকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্ত্রীকেও দেখা যায়। ডিবি অফিসে কিছুক্ষণ রাখার পর তাঁকে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) আশরাফুল ইসলাম টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, ডিবি পুলিশের একটি দল এমপি লিটনকে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় বা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আজই আদালতে হাজির করা হবে।
তবে এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
গত ২ অক্টোবর ভোরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এমপি লিটনের লাইসেন্স করা পিস্তুলের গুলিতে আহত হয় শিশু সৌরভ। সৌরভ গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এ ছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর আরো একটি মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান। ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এমপি লিটন।
পরে দুই মামলায় জামিন চাইতে গত ১২ অক্টোবর, সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন লিটন। হাইকোর্ট তাঁকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু গতকাল বুধবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। এর ফলে তাঁকে গ্রেপ্তারে আর কোনো বাধা ছিল না।