ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা কাদের সিদ্দিকীর
টাঙ্গাইল-৪ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে করা আপিলে ন্যায়বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
আজ রোববার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে কাদের সিদ্দিকী এ প্রত্যাশার কথা জানান ।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শুনানি হয়েছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। নিয়ম অনুযায়ী, শুনানি হওয়ার সাথে সাথে রায় দেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা বলেছে, তাঁরা পাঁচজন বসবেন। বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫টার সময় আমাদেরকে জানাবেন।’
‘আমরা আশা করি সুবিচার পাব। নির্বাচন কমিশন আইনের দ্বারা পরিচালিত হবে। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। এই সুযোগ এসেছে,’ যোগ করেন কাদের সিদ্দিকী।
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা ঋণখেলাপি ছিলাম না। সেই কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করেছি।’
রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রায় শোনার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েকটি নির্বাচনে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এখন সুযোগ রয়েছে তাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার।’
রোববার ইসি সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে বেলা ১১টা থেকে ১২টা ২০ পর্যন্ত কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি হয়। শুনানির সময় ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান।
ঋণখেলাপের অভিযোগে গত মঙ্গলবার কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী গত শুক্রবার ইসিতে আপিল করেন।