শিশু রাজন হত্যা : আবারো সাক্ষ্যগ্রহণ হবে ১১ জনের
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার ১১ সাক্ষীর আবারো সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার এ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা। মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন জানান, আজ আদালতে হাজির হয়ে কামরুলের পক্ষে আলী হায়দারের আইনজীবী ১৫ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান।
আবেদনে অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন উল্লেখ করেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়ার সময় কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না এবং তাঁর আইনজীবীও ছিলেন না। তাই কামরুলের উপস্থিতিতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানান তিনি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন নির্ধারণ করেন।
আজ আসামিপক্ষের মতামত উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে কামরুলসহ কারাবন্দি ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন গৃহীত হওয়ায় আজ আসামিপক্ষের মতামত গ্রহণ করা হয়। ২৫ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
গত রোববার কামরুল মামলাটির ৩৮ সাক্ষীর সবার পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছিলেন। আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেন। ওই দিনই প্রথমবারের মতো মামলার কার্যক্রম চলাকালে আদালতে হাজির করা হয় কামরুলকে।
রাজন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—কামরুল ইসলাম, তাঁর ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ (পলাতক), তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ, জাকির ওরফে পাভেল ওরফে রাজু (পলাতক) ও আয়াজ আলী।
গত ১৫ অক্টোবর কামরুলকে সৌদি আরব থেকে দেশে নিয়ে আসা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাঁকে আটক করে সেখানকার বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁকে নির্যাতন করে হত্যার ভিডিওচিত্র ধারণ করে পরে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।