পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে দেশের ১২৫ উপজেলায় আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় এ ধরনের আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী রোববার ঢাকায় পলাশীতে ব্যানবেইস মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপ-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আইসিটি ভবনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আইসিটি-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক আইসিটি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তৃণমূল জনগণের হাতের নাগালে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন ও ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
গত ১০ অক্টোবর থেকে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাসব্যাপী জরিপ পদ্ধতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত নির্ধারিত প্রশ্নমালা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অনলাইনে পূরণের মাধ্যমে প্রতিবছর এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এ সময় শিক্ষা সচিব জানান, দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডায়নামিক ওয়েবসাইট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিতিসহ বিস্তারিত শিক্ষা কার্যক্রম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নিয়ে একটি ওয়েবপোর্টাল করা হচ্ছে। ফলে দেশের যেকোনো স্থান থেকে পুরো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়া যাবে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে শিক্ষা সচিব উল্লেখ করেন।
ইএফএ রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী
রোববার ব্যানবেইস ভবনে বিএনসিইউ মিলনায়তনে সবার জন্য শিক্ষা গ্লোবাল মনিটরিং রিপোর্ট-২০১৫ প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষার নামে কিছু শিক্ষার্থীকে আলাদা করে অন্যদের অবহেলা করা হতো। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে এখন স্কুলের সব শিক্ষার্থী সমান যত্ন পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এসএসসির আগেই দুটি সনদ অর্জন একজন দরিদ্র শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্জনে অনেক বেশি উৎসাহিত করছে। শিক্ষামন্ত্রী পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার মহৎ উদ্দেশ্য পূরণে আরো নিবেদিতপ্রাণে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিএনসিইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহউল আলম এবং ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইইউর প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।