খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪২ মিনিটের দিকে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) কর্মীরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বিএনপির গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এনটিভিকে বলেন, রাতে পুলিশ ও ডেসকোর লোক এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর পর থেকে জেনারেটর দিয়ে কার্যালয়ের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ করেই অন্ধকার হয়ে যায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়সহ এর আশপাশের এলাকা। কিছুক্ষণ পরই ডেসকোর একটি গাড়ি এসে থামে কার্যালয়ের সামনে। এর পর ডেসকোর কর্মীরা খুব দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করেন।
কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশ আছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ডেসকোকর্মী বলেন, ‘গুলশান থানা থেকে পারমিশন দেওয়া হয়েছে। পারমিশন দেওয়ার পর থানা থেকে লোক এসেছে, পুলিশ এসেছে। তারা আমাদের অর্ডার দিয়েছে, আমরা কাজ করেছি।’
এদিকে, গুলশান থানা পুলিশের অনুমতির কথা বলা হলেও দায়িত্বে থাকা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফারুক খন্দকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘থানা কখনো কাউকে নির্দেশ দেয়নি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার জন্য; বরং কোথাও বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা হেল্প করি, যাতে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ চলে আসে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক সমাবেশে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অবরুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়াকে না খেয়ে মরতে হবে বলে হুমকি দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার হরতাল-অবরোধে কোনো এসএসসি পরীক্ষার্থী পেট্রলবোমা হামলার শিকার হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয় পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।