নতুন বই ছাপা নিয়ে সন্তোষ শিক্ষামন্ত্রীর
নতুন বছরের প্রথম দিনই প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থীর হাতে চার কোটি ৪৪ লাখ বই তুলে দিতে চায় সরকার। তাই ছাপাখানাগুলোতে দম ফেলার ফুরসত নেই মুদ্রণকর্মীদের। কিন্তু কাগজের মান নিয়ে খুব একটা আত্মতৃপ্তি দেখা যায়নি ছাপাখানার মালিকদের মধ্যে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মাতুয়াইলে কয়েকটি ছাপাখানা পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী। ছাপাখানার মালিকদের সংশয় থাকলেও মান নিয়ে সন্তুষ্ট শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, যেসব কাগজে বই ছাপা হচ্ছে, সব কাগজের মান এক রকম নয়। সে প্রশ্নে মুদ্রণ মালিকরা দায়ী করেন কাগজ সরবরাহকারীদের।
ব্রাইটিং প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী এস এম মহসীন বলেন, ‘যদি উনিশ-বিশ হয়, হবে না যে এটা আমি বলতে পারছি না, তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ কাগজটা তিনটা-চারটা স্তরে পরীক্ষা করা হয়। আমরা নিজেরা একবার করি, এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের) লোক এসে কাগজ নিয়ে যায়, তার পর আমরা ছাপি।’
আর ছাপা শেষে মান পরীক্ষা করা হবে জানিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমরা যদি মালের গরমিল যেখানে পৌঁছাবে সেখানেও পাই, তাহলে আমাদের যে বিধান আছে সে অনুযায়ী ওদেরকে জরিমানা করতে পারব।’
তবে কাগজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা কিছুই হোক, শিক্ষামন্ত্রীর লক্ষ্য নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া।
কাজের অগ্রগতি দেখতে ছাপাখানা পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে আপাতত এটুকুই সন্তুষ্টি আমাদের, আগের চেয়ে যে ভালো, তা যেকোনো বাচ্চাই যদি গত বছরের বইয়ের সঙ্গে তুলনা করে, তবে দেখবে এ বছরের বইটা ভালো।’
বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা মেনে সরকারি একটি তদারকি কমিটি নিয়মিত ছাপার কাজ দেখভাল করছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মানের ঘাটতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’