সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে
সরকারি চাকরিতে ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি মাদক গ্রহণ করলে তিনি আর সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন না। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। মাদকের উৎস, সরবরাহ ও সেবন সবকিছুই আমরা বেশ শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি। প্রথম দিকে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে সব প্রার্থীকেই ডোপ টেস্টে অংশ নিতে হবে। ডোপ টেস্টের রিপোর্টে কারো বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি যত যোগ্যতা সম্পন্নই হোন, তার আবেদন বাতিল হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এখন সরকারি চাকরিতে যোগদানের সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রর্যায়ক্রমে বর্তমানে যারা চাকরি করছেন, তাদেরও এ টেস্ট দিতে হবে। বর্তমানে চাকরিরত কারো বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মাদক সেবন করে তাদের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রতিটা জেলায় একটি করে পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া মাদকসেবীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে পৃথক একটি ওয়ার্ড ও অতিরিক্ত বিছানা করার উদ্যোগ নেবে সরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।