‘মাদক ব্যবসায়ীদের পরিণতির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী থাকবেন’
মাদক ব্যবসায়ীদের এ ঘৃণ্য পেশা ছেড়ে ভালো পথে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের পরিণতির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী থাকবেন। মাদক আইন শক্তিশালী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা বলেন।
দেশের বাইরে থেকে মাদক আসে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। যেসব মাদক দেশের ভেতরে চলে আসে তা প্রতিরোধে পুলিশ ও র্যাব কাজ করছে। মাদক ব্যবসায়ীরা এ ব্যবসা বন্ধ না করলে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও পরিণতির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী থাকবেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, সরকারের সফলতাকে টেকসই করতে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ছবি বা সেলফি তুলে কেউ যাতে মাদক ব্যবসা ও জঙ্গিগোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা অন্য কোনো অন্যায় করতে না পারে সেজন্য পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আফসারুল আমীন বলেন, তাঁর অাটটি ওয়ার্ডে কারা কারা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি তা জানেন না। আবার কমিউনিটি পুলিশিং দুটি ওয়ার্ডের সভাপতির পদে বসে একজন বিএনপি নেতা ও একজন শিবির নেতা দোকান খুলে বসেছেন বলে অভিযোগ করেন এই সাংসদ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (অাইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার পুলিশ রয়েছে। ৯০০ মানুষের জন্য একজন। এরকম দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। এত কম পুলিশ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও অসম্ভব কাজ। এ জন্য কমিউনিটি পুলিশিং সহযোগী হয়ে কাজ করছে।
অাইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদকে যেভাবে রুখে দেওয়া হয়েছে সেভাবে মাদককে রুখে দিতে চাই। এর আগে নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে একটি র্যালির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। র্যালিতে শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। এটি জিইসি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মাদক, জঙ্গিবাদ ও আইনশৃঙ্খলা ও কমিউনিটি পুলিশিং মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মাহাবুবর রহমান ও পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বক্তব্য দেন।