‘জনগণের টাকা নেওয়া হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর’
উন্নয়নের কথা বলে জনগণের কাছ থেকে টাকা বের করে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু উন্নয়ন হচ্ছে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ফলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে বা ভ্যাটের পরিমাণ বাড়লে তাদের কি? মানুষের আয় না বাড়লেও তাদের কিছু আসে যায় না। আসলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে, এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য। এই সরকারের সঙ্গে যারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত তারাই এই এলএনজি আমদানি করছেন।’
বর্তমান সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি মন্তব্য করে একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
বিচার বিভাগকে আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রায় দিতে হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পাবনায় শেখ হাসিনার ওপর হামলার যে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি সেই মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে পরনির্ভরশীল দেশে পরিণত করছে। দেশে শিক্ষিত যুবকরা চাকরি পায় না। কর্মসংস্থান নিচের দিকে নামছে। আমাদের ছেলেদেরকে চাকরি দেয় না। অথচ একই সময়ে আজকে ভারত থেকে কর্মীরা এসে বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশ এখন যারা সরকার তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তার প্রকৃতপক্ষে এই দেশের জনগণের সরকার নয়। এরা পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে হলে জনগণের ঐক্যের খুব প্রয়োজন। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সব দলমত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা দেশের গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করছে তাদের পরাজিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে অবশ্যই আমাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেভাবে ড্যাব তাদের সংগঠনের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।’
ড্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড্যাবের সাবেক নেতা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের বর্তমান সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম প্রমুখ।