উকিল হতে চেয়েছিলেন এরশাদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় তিনি মারা যান।
বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, উকিল হতে চেয়েছিলেন সাবেক এই সেনাশাসক। কবিতার প্রতি তাঁর প্রেমও কারো অজানা নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরশাদ জন্মগ্রহণ করেন রংপুরে তাঁর নানার বাড়িতে ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তবে তাঁর শৈশব ও স্কুলজীবন কেটেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতের কুচবিহারের দিনহাটায়।
স্কুল শেষ করে এরশাদ রংপুরে কারমাইকেল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
এরশাদের ভাই ও জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদের বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর উকিল হওয়ার চিন্তা থেকে ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু আইন পড়া শেষ হওয়ার আগেই ১৯৫২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ে তাতে যোগ দেন।
জি এম কাদের আরো জানিয়েছেন, তাঁদের বাবা মকবুল হোসেনও পেশায় আইনজীবী ছিলেন।
এর আগে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
গত ২৬ জুন থেকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন এইচ এম এরশাদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। আশির দশকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আট বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই সামরিক শাসক একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।