গরিবের ঈদ নিয়ে এরশাদের কবিতা, শুনুন তাঁর কণ্ঠে
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় তিনি মারা যান।
রাজনীতির পাশাপাশি এরশাদের কাব্যপ্রেমের কথাও কারো অজানা নয়। প্রেমিক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। স্ত্রী রওশন এরশাদকে নিয়ে লেখা একটি কবিতায় এরশাদের প্রেমিকমনের প্রশ্ন, ‘কতদূর আলোর মৌমাছি’? রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রকাশিত কবিতার বই।
গ্রামের মানুষের কাছেও এরশাদ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তাঁকে ‘পল্লীবন্ধু’ নামেও ডাকা হয়।
এরশাদ শুধু কবিতা লিখতেনই না, আবৃত্তিও করতেন। তাঁর কণ্ঠও ছিল দারুণ। বেশ কয়েক বছর ধরে অন্তর্জালে তাঁর একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির ভিডিও হাত ঘুরছে। ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওটি এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৭০ হাজারের বেশিবার।
ভিডিওটিতে এরশাদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ঈদ মোবারক। আজকে খুশির দিন। ঈদের দিন। আজকের এই দিনে আমি আপনাদের জানাচ্ছি ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন। সুন্দরভাবে ঈদ পালন করুন। আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাই।’
এরপরই এরশাদ বলেন, ‘আমি একটি কবিতা লিখেছি আজ। তিস্তাপাড়ের একজন গরিব কৃষককে নিয়ে। তাঁর রোজা, ইফতার, তাঁর সেহরিকে নিয়ে। গরিব কৃষক। তিস্তার পাড়ের কৃষক। কবিতাটি পড়ি আমি, শোনেন।’
দেখুন ভিডিওতে :
ওই গরিব কৃষকের উদ্দেশে লেখা কবিতায় এরশাদ বলেন, ‘তাঁকে দেখেছি কতবার/ আপন পরিক্রমায়/ একান্ত আপন মনে/ ডাক দিয়ে গেছে মরমিয়া গানে...।’
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম খান এনটিভি অনলাইনকে সকালে জানান, আজ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
গত ২৬ জুন থেকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন এইচ এম এরশাদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। আশির দশকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আট বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই সামরিক শাসক একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।