তদন্ত করে ব্যবস্থা, আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লায় আদালতে বিচারকের সামনে হত্যা মামলার এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় আদালতের ভেতরে কীভাবে হত্যাকারী ছুরি পেল এবং কারা তাকে ছুরি দিয়েছে, সেটি তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ মঙ্গলবার বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার কোর্টের ভেতরে কীভাবে সে ছুরি পেল, কারা তাকে ছুরি দিয়েছে, সেটা তদন্তের ব্যাপার। তদন্ত করলেই ঘটনা বের হয়ে আসবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আদালতের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘কোর্টে সাধারণত আমাদের পুলিশরা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করেন এবং কোর্ট নিরাপত্তার জন্য ডিরেকশন দেন। পুলিশ ও আমাদের কারারক্ষীরা সেই অনুযায়ী কাজ করেন।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আরো বলেন, ‘আমরা কোর্টকে সুপারিশ করতে পারি, যাতে করে স্ক্যানারের মাধ্যমে সবাইকে কোর্টে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। যাতে করে কোনোভাবেই এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।’
গতকাল সোমবার হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন দুই আসামি। চলছিল সাক্ষ্য গ্রহণ। ঠিক এ সময় বিচারকের সামনেই বিতণ্ডার জেরে ছুরি নিয়ে এক আসামি অন্য আসামিকে ধাওয়া করে। দৌড়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয় অন্য একটি আদালতে। সেখানে গিয়েই ঘাতক উপর্যুপরি ছুরি মারতে থাকে। এতে ওই আসামি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে ওই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
নিহত ব্যক্তির নাম ফারুক। তিনি লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রি। এ ঘটনায় হাসান নামের অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্পর্কে উভয়ে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই।