সারা দেশে গণজাগরণ মঞ্চের হরতাল পালন
লেখক-প্রকাশক হত্যা ও ব্লগারদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা আধা বেলা হরতাল পালিত হয়েছে। সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে প্রগতিশীল ও মুক্তচিন্তার মানুষদের ওপর হামলার বিচার দাবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এ হরতাল শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হরতালের চিত্র সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ : প্রধান প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা । মিছিলে নেতৃত্বে দেন মুনিরা সুলতানা অনু ও আব্দুর রব মোশাররফ। সকাল থেকে শহরে হালকা যানবাহন চলাচল করেছে।
দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী,সুনামগঞ্জ : সকাল ১০টার দিকে শহরের পৌর কলেজ চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।পরে আলফাত স্কয়ারে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতা প্রভাষক চিত্তরঞ্জন তালুকদার,শিমন চৌধুরী, শামস শামীম, ছাত্রনেতা রইসুজ্জামান প্রমুখ।
আবু তাহের মুহাম্মদ,খাগড়াছড়ি : মানববন্ধনে খাগড়াছড়ি গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বক মুক্তিযোদ্ধা মংসাথোয়াই চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সমাজকর্মী মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, প্রদীপ চৌধুরী প্রমুখ।
ফারুক আহমেদ পিনু, কুষ্টিয়া : হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই জেলায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ছোট পরিবহন এমনকি ঢাকাগামীসহ দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। হরতালের পক্ষে গণজাগরণ মঞ্চের কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি।
মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা : কোথাও কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি বা মিছিল বের হয়নি। নগরীতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেশির ভাগ রুটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সংখ্যায় অন্য দিনের চেয়ে একটু কম।
মো. জালাল উদ্দিন, কুমিল্লা : নগরীতে হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল দেখা যায়নি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে নগরীর মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকালে নগরীর দোকানপাট না খুললেও বিভিন্ন বাস স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন।
গত শনিবার প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতির কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনকে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন দুর্বৃত্তরা লালমাটিয়ায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক-ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে আহত করে। দুটি প্রকাশনী থেকেই প্রয়াত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল।