রাবিতে গ্রেনেডসদৃশ বস্তু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের মাঠে গ্রেনেড থাকা স্থানটি রশি দিয়ে ঘিরে রেখেছে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ।
রাবি শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে মসজিদের কাছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছনে ছাত্রলীগের টেন্টে আজ দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বুধবার সকালে মসজিদে মাঠে ঘাস কাটতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী। তিনি গ্রেনেডসদৃশ বস্তুটি দেখে পেয়ে মসজিদের ইমামকে বিষয়টি জানান। পরে ইমাম বিষয়টি জানালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমি সেখানে যাই। মসজিদের সামনের মাঠে ঘাসের ওপর এটি দেখার পর তা উদ্ধার করার জন্য এরই মধ্যে র্যাবের অভিজ্ঞ বাহিনীকে ডাকা হয়েছে। তারা এলেই সেটি উদ্ধার করা হবে।’
তারিকুল হাসান আরো বলেন, ‘গ্রেনেডটি পুলিশই উদ্ধার করতে পারত কিন্তু এর উৎস খোঁজার জন্য আমরা র্যাবের অভিজ্ঞ বাহিনীকেই খবর দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বস্তুটি ছোট হলেও সেটি শক্তিশালী কোনো গ্রেনেড হবে। এটি নাশকতার উদ্দেশ্যেই কেউ সেখানে রেখে যেতে পারে।’
এ বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে একটি গ্রেনেড পড়ে আছে। তবে সেটি সক্রিয় না কি নিষ্ক্রিয় সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। র্যাব ৫-এর বোমা বিশেষজ্ঞ টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে টিমটি জয়পুরহাটে অবস্থান করায় শিগরিরই গ্রেনেডটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হচ্ছে না। র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ টিম যতক্ষণ না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মসজিদ চত্বরে গ্রেনেডটিকে সতর্কতার সঙ্গে ঘিরে রাখা হবে।’