ঢাকার আগে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন : সিইসি
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঢাকার আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে তা নিশ্চিত। আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
সিইসি জানান, এইচএসসি পরীক্ষা ও রমজান মাসের হিসাব-নিকাশের কারণে এর মধ্যে সময় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ঢাকা সিটি নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সে রকম আর কোনো বাধা দেখছি না। কাজেই আমরা এখন নির্বাচন করতে পারব ইনশা’আল্লাহ। সেই জন্য এখন ফার্স্ট থিং হচ্ছে, আমাদের ভোটার লিস্টটা ম্যাচ (মেলাতে) করাতে হবে। সেটার কাজ এখন চলছে, পুনর্বিন্যাসের কাজ।.....এরপরে আমরা শিডিউল ডিক্লেয়ার (তফসিল ঘোষণা) করব।’
সবার অংশগ্রহণ আশা করে সিইসি জানান, ডিসিসি নির্বাচন তিনি রোজার আগেই করতে চান। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এসএসসি পরীক্ষা এখন চলছে, এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে।....তারপরে রোজা আসছে। রোজাটাকেও আমরা এভয়েড করি (এড়িয়ে চলি)। রোজার মধ্যে খুব ইমার্জেন্সি (জরুরি) না হলে ইলেকশন (নির্বাচন) করা হয় না। তো সেটা বাদ-টাদ দিয়ে আমাদের ইলেকশন করতে হবে। তো এগুলি সব নিয়ে আমরা বসব।
আমাদের মেইন (প্রধান ভাবনা) হচ্ছে, এডুকেশন মিনিস্ট্রি (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে তাদেরই সব স্কুল-কলেজে (ভোটগ্রহণ)করতে হবে এবং তাদের শিক্ষকদেরও আমরা লার্জ নাম্বারে ইউজ (ব্যাপকভাবে ব্যবহার) করি। কাজেই তাদের সাথে আমাদের বসতে হবে, নিজের গ্রাউন্ড ওয়ার্কটা (প্রাথমিক কাজ) হয়ে গেলে। ওনাদের সাথে বসে এর মধ্যে একটা সুইটেবল ডেট (যুতসই সময়) বের করতে হবে আমাকে।’
বর্তমান সহিংসতা চলতে থাকলে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা তা এ সময় স্পষ্ট করেননি সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো ভালো হবে, যাতে করে লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। অবশ্য তার আগে আমরা...আপনারা জানেন ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর) সঙ্গে বসি। তাদের সাথে মিটিং (বৈঠক) করি। মিটিং করে তাদের পরামর্শ নেই।
সেই মোতাবেক আমরা ডিপ্লয়মেন্টও (মোতায়েন) করি। সেটা আমরা যথাসময় পরামর্শ করেই ডিপ্লয়মেন্ট করব।’