কুনিও হত্যা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে সন্দেহভাজন তিনজন গ্রেপ্তার
রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলা সদরের সাতনইল ও বিদিরপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই তিনজনের কাছ থেকে কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রংপুর কোতোয়ালি থানার শালবন শাহীপাড়া গ্রামের রাজীব হোসেন ওরফে মেরিল সুমন, সেন্ট্রাল রোড জুম্মাপাড়ার নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে কালা রুবেল ও শালবন মিস্ত্রিপাড়ার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভর্সা কাজল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে আজ শুক্রবার সকালে র্যাব-৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব আলম এক ব্রিফিংয়ে জানান, সাতনইল উত্তরপাড়া সড়কে গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে টহল দিচ্ছিল র্যাব-৫-এর একটি দল। এ সময় তাঁদের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে রাজীবকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিদিরপুর এলাকা থেকে রুবেল ও কাজলকে একটি বিদেশি রিভলবার, একটি চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
মাহাবুব আলম আরো জানান, গ্রেপ্তার তিনজনই হোশি কুনিও হত্যার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। রংপুরে মেরিল সুমনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ আটটি মামলা, কালা রুবেলের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা ও ভর্সা কাজলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে রংপুরের মাহিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। দুর্বৃত্তদের তিনটি গুলি তাঁর শরীরে লাগে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ হাসপাতালেই পড়ে থাকে কুনিওর লাশ। পরে জাপানি দূতাবাসের অনুরোধে কুনিওকে রংপুরেই দাফন করা হয়।