সাকা চৌধুরীর রিভিউয়ের রায় আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের ওপর রায় আজ বুধবার। এদিন সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালত জানান, সাকা চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের রায় বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোষণা করা হবে। আজ একই সময় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদেরও রায় দেওয়া হবে।
এদিন সাকা চৌধুরীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মুজাহিদের মামলার শুনানি হওয়ায় সময় আবেদন করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী।
এর আগে গত ২ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত থাকলেও সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির চার সদস্যের বেঞ্চ ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন। সে সঙ্গে ওই দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের পক্ষে বিদেশি নাগরিকসহ আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার যে আবেদন করেছিলেন, তা খারিজ করে দেন আদালত।
গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২ নভেম্বর দুটি রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। তবে রিভিউ শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন মুজাহিদের আইনজীবীরা।
এর আগে ১৫ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়। এর আগের দিন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের পক্ষে আলাদাভাবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ দুজনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হয়। সে অনুযায়ী সময় শেষ হয়ে যাওয়ার একদিন আগেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ। এ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।