মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে পরিবার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে তাঁর পরিবার। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে আবেদন করা হয়।
মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর বাবার সঙ্গে আমরা দেখা করতে চেয়ে আবেদন করেছি। আমার পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন। জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় আছি। তারা অনুমতি দিলে আমরা দেখা করতে যাব।’
তবে এ বিষয়ে জানতে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আলী আহমেদ মাবরুর বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার অভিযোগে তাঁকে যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি এতে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই সরকার তাঁকে রাজনৈতিকভাবেই হত্যার পরিকল্পনা করেছে।’
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এনটিভি অনলাইনকে মাবরুর বলেন, ‘এ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আল্লাহর দরবারে ন্যায়বিচার আশা করি। যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার বাবাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার পরিকল্পনা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে।’
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে মুজাহিদের অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়েছে, একাত্তরের ২৭ মার্চের পর ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প করে। পরে রাজাকার, আলবদর বাহিনীও সেখানে ক্যাম্প করে। মুজাহিদ ছাত্রসংঘের শীর্ষ নেতা হওয়ার সুবাদে আর্মি ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ছাত্রসংঘের ও আলবদর বাহিনীর সুপিরিয়র নেতা হিসেবে সেনাক্যাম্পে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করতেন। এ ধরনের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুজাহিদ ১০ ডিসেম্বর থেকে পরিচালিত বুদ্ধিজীবী নিধনসহ হত্যা, নির্যাতন, বিতাড়নের মতো যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটিত করেন।