কারাগার থেকে বেরিয়েছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট, কথা বলেননি
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাওয়া দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বের হয়েছেন। তবে কারাগার থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই কেন্দ্রীয় কারাগার ত্যাগ করেন তাঁরা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর আশরাফুল ইসলাম ও তানভীর আহমেদ নামে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। পরে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে বের হয়ে চলে যান তাঁরা। কারাগার থেকে বের হয়েই তাঁদের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়িতে ওঠেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় তাঁদের সামনে-পেছনে ছিল পুলিশের প্রহরা।
কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রে জানায়, সচিবালয় থেকে রায় কার্যকরের নির্বাহী আদেশ নিয়ে সাধারণত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কারাগারে প্রবেশ করেন। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি চাইবেন না এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাই শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করেন।
গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা পরিবারে সদস্য ও তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে গতকাল সারা দিন অপেক্ষা করেও সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি তাঁদের পরিবারের সদস্য কিংবা আইনজীবীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে মৃত্যদণ্ডাদেশ বহাল রাখার রায় ঘোষণার পর ওই দুজনের আইনজীবী ও পরিবারের সদসস্যরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই রাতে রায় পড়ে শোনানো হয় তাঁদের।
ওই দুজন প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁরা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেননি, সময় নিয়েছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, এরই মধ্যে ফাঁসির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইন অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপগুলো সম্পন্ন করা হবে।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সব আইনি প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন কেবল তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। এটা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
১৮ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।