ছাত্রলীগ নেতার কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার : র্যাব
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭। সিআরবি এলাকায় একটি জোড়া খুনের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজারের বাসা থেকে তিন সহযোগীসহ লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানান। তিনি বলেন, লিমনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ওয়ান শুটার গান, চারটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তৌহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও আজিজুল হক নামের লিমনের তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
লিমনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা আছে বলেও জানান র্যাব অধিনায়ক।
২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকার দরপত্রকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন যুবলীগ নেতা সাজু পালিত ও শিশু আরমান (৮)। ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলে আলোচনায় আসে ছাত্রলীগ নেতা লিমন ও যুবলীগ নেতা বাবরের নাম।
গত সোমবার বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রহমান চৌধুরী ছাত্রলীগ নেতা লিমন, যুবলীগ নেতা বাবরসহ ৬২ জনকে অভিযুক্ত করে জোড়া খুনের মামলার অভিযোগপত্র নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তীর কাছে জমা দেন।