ক্রিকেটার শাহাদাতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে শাহাদাতকে কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের এ আদেশে শাহাদাতের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
মামলায় শাহাদাতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জাহিরুল আমিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
আদেশের পর মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জামিনের বিরুদ্ধে আমি জোরালো বিরোধিতা করে বক্তব্য রেখেছি। আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করব।’
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা শাহাদাতের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। তবে ১ ডিসেম্বর শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী জেসমিন জাহান নৃত্যকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেন ওই আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী নৃত্য শাহাদাতকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে তাঁদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। সাংবাদিকদের কাছে শাহাদাতের বাসায় নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ দেয় শিশুটি। এ ঘটনায় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাদী হয়ে মামলা করলে পালিয়ে যান জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ও তাঁর স্ত্রী। এর এক মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর নৃত্যকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শাহাদাতও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
নির্যাতনের যে বর্ণনা ওই শিশু আদালতের জবানবন্দিতে দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, শাহাদাত রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে তাকে পিটিয়ে আঘাতের স্থানে বরফ লাগাতেন।