কুনিও হত্যায় জেএমবি জড়িত : পুলিশ
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীর বলেছেন, জাপানের নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করেছে নিষিদ্ধঘোষিত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মাসুদ রানাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। হোশি কুনিও হত্যা ছাড়াও রংপুরে সংঘটিত আরো দুটি ঘটনা জেএমবির সদস্যরা ঘটিয়েছে বলেও জানান ডিআইজি।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরে ডিআইজির সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে জেএমবি হত্যা করেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ডিআইজি জানান, ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলীকে হত্যা ও ৮ নভেম্বর সকালে রংপুর নগরীর আর কে রোডের আইডিয়াল মোড়ে বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমীনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনাও জেএমবি ঘটিয়েছে।
হুমায়ুন কবীর জানান, মাসুদ রানাকে ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পীরগাছা থানা পুলিশ ইটাকুমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তিনি হোশি কুনিও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ৩ অক্টোবর সকালে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ অক্টোবর রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ উন নবী খান বিপ্লব, হোশি কুনিওর সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরা, গত ১২ নভেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জে র্যাবের হাতে আটক রংপুরের রাজীব হাসান ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন ওরফে ব্যাক রুবেল ও কাজল চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পাঁচজন রংপুর কারাগারে আটক রয়েছেন।