ড্রেনে পড়ে মৃত্যু : নীরবের গ্রামে শোক
ঢাকার কদমতলী এলাকায় ড্রেনে পড়ে গিয়ে শিশু নীরবের (৬) মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বুধবার রাতে নীরবের দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় উপজেলার পশ্চিম বনগ্রামের অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে নিহত শিশু নীরবের চাচা ইউপি সদস্য আবদুস সাত্তার হোসেন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ভাইজতা নীরবের মৃত্যুটা আসলে দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ওর মৃত্যুটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের দাবি নীরবের মতো যেন আর একটা শিশুরও এভাবে করুণ মৃত্যু না হয়।’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় ড্রেনে পড়ে ডুবে মারা যায় নীরব।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও আশপাশের ড্রেনে নেমে তল্লাশি শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বুড়িগঙ্গার তীরে আরেক নালার তারের জালে অচেতন নীরবকে খুঁজে পান এক উদ্ধারকর্মী। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ সকালে লাশের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী আবু শামা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। শরীরে গভীর কোনো ক্ষতের চিহ্ন নেই। শুধু রোলিংয়ের (গড়ানো) কারণে পেট, কপালে ও মুখে কিছু জখম রয়েছে।’
এই চিকিৎসক জানান, নীরবের পাকস্থলীতে যে খাবার পাওয়া গেছে, তা পরীক্ষা করে মনে হয়েছে মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক আগে খেয়েছিল শিশুটি।
নীরবের গ্রামের বাড়িতে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
কালকিনির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মঙ্গলবারই আমি ঘটনাটি টিভিতে লাইভ দেখেছিলাম। পরে জেনেছি, শিশু নীরবের বাড়ি আমাদের কালকিনির ডাসার থানার পশ্চিম বনগ্রামে।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিশু নীরবের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করব।’