‘স্মৃতিসৌধে ফুলের মালা দিয়ে রসিকতা করবেন না’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে ফুলের মালা দিয়ে রসিকতা করবেন না। কারণ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে সেই সব হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীকে আপনার দল বিএনপিতে জায়গা দিয়েছেন।’
গতকাল সোমবার নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আসাদুজ্জামান নূর। জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আপনি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের দলে জায়গা দিয়েছেন আর এখন আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কবরে ফুলের মালা দিয়ে ইয়ার্কি করছেন।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বাংলাদেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আর তাঁর স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে লাল-সবুজ পতাকা আমরা পেয়েছি, সেই পতাকা ওই খুনিদের গাড়িতে উড়িয়েছেন।’
বিএনপি কোনোদিন দেশের উন্নয়ন চায়নি ও উন্নয়ন করেনি উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আজ যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেই উন্নয়নকে থামাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। উন্নয়নের ধারা থামাতে না পেরে তিনি বিদেশিদের হত্যা করাচ্ছেন, যাতে বহির্বিশ্বে শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনা হয়, বিদেশিরা যাতে বিনিয়োগ না করে। বাংলার মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে এটাই খালেদা জিয়া চাইছেন। কিন্তু আপনার সেই আশা কোনোদিন পূরণ হবে না, কারণ বাংলার মানুষ ১৯৭১ সালে সকল ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এখনো বাংলার ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তাই আপনার স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ জোনাব আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলীমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান জুয়েল।