গণতন্ত্র ক্লাবের গেটপাস পেতে নাশকতা বন্ধ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক অভিযোগ করেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে নাশকতার পথ গ্রহণের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের পথে পা রাখছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। গণতন্ত্র ক্লাবের গেটপাস পেতে হলে খালেদা জিয়াকে নাশকতা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে অচিরেই এটি একটি সন্ত্রাসবাদী দলে পরিণত হবে। আর দেশের আইন অনুযায়ী একটি সন্ত্রাসবাদী দলকে মোকাবিলা করা হবে।’
হাসানুল হক ইনু অভিযোগ করেন, ‘রাজাকার বাহিনীর মতো বিএনপিকর্মীরা জনগণের ওপর অত্যাচার শুরু করেছেন। আমি খালেদা জিয়াকে বলব জনগণের ওপর অত্যাচার বন্ধ করুন। উনি কী চাচ্ছেন। সরকারের পতন চাচ্ছেন, নাকি সংলাপে বসতে চাচ্ছেন নাকি সংসদ বাতিল চাচ্ছেন। নাকি উনার ৭ দফায় বর্ণিত একটি তথাকথিত দলের সমর্থনে একটি নির্দলীয় সরকার চাচ্ছেন। ৭ দফা পড়াও শেষ হলো না তারই মধ্যে তিনি অবরোধ দিলেন। নাশকতার মধ্যে চলে গেলেন। সংলাপের কথা বলেন। কিন্তু সংলাপ তো রাজনীতিতে হয়, গণতন্ত্রে আলোচনা হয় তাতে আপত্তি নেই। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে উনি এই মুহূর্তে সরকারের পতন চাচ্ছেন কি না। যদি পতন চান তাহলে সংলাপের প্রয়োজন নেই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবিধানিক পরিধির মধ্যে যেকোনো সংলাপ যেকোনো সময় হতে পারে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার জন্য যেকোনো প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে বিএনপি। যেকোনো দলের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আলোচনার দরোজা খোলা রয়েছে। খালেদা জিয়া এত অস্থির কেন। নির্বাচন নিয়ে সংলাপ চাইলে ঠাণ্ডা মাথায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন। ...উনি (খালেদা জিয়া) সরকারের পতন চাচ্ছেন। তাহলে উনি সহিংসতার করার জন্য বারবার গ্রেপ্তার হবেন। উনি কোনো অবস্থাতেই জঙ্গিবাদীদের নিয়ে জোট করতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করতে পারবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বর্তমানে রাজনীতির ভিলেন হচ্ছেন জঙ্গিবাদ ও তার নেত্রী খালেদা জিয়া। এই রাজনীতির ভিলেনকে মোকাবিলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও শান্তির পথ আমরা নিরাপদ করতে পারব।’