এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিতে আইন হচ্ছে
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা নিতে নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে এ-সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংলাপে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শ্যামল সরকার।
সংলাপে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন আইনে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বিষয়েও শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা অবহিত হবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন বড় লক্ষ্য বিশ্বমানের শিক্ষার্জন। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ঠেকানো আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। ৯ থেকে ১০ শতাংশ শিশুরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না। বাকিরা স্কুলে গেলেও ৪৮ শতাংশ শিশু পঞ্চম শ্রেণির আগেই ঝরে পড়ে। বাকিদের মধ্যে এসএসসির আগে ৪২ শতাংশ ঝরে। সবার জন্য বিনামূল্যে বই দেওয়ার পর থেকে এই সংখ্যা কমেছে। আমাদের এখন লক্ষ্য সবাইকে স্কুলে পাঠানো।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমপিওভুক্ত (বেতন বাবদ সরকারি অনুদান পাওয়া) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়ার বিষয়ে কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি এসব প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে। সচিবালয় থেকেও একই সুপারিশ করে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেব। তা না করে যদি এসব প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে নেওয়া হয়, তবে কেউ হাইকোর্টে রিট করে এই কার্যক্রম স্থগিত করে দিতে পারে। এ জন্য বিষয়টি একটি আইনি কাঠামোতে আনতে হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত হবে।’
পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো মূলত পাবলিক পরীক্ষা নয়। শিশুদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ বাড়াতে এগুলো করা হয়েছে। এটার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।’