মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, যদি কেউ বলে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি তবে তাদের ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। এ রকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য যারা দেয়, তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।
আজ রোববার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগরের ৭ নম্বর দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণজমায়েত’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মিজান বলেন, জাতীয় জীবনে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। সেই অর্জনগুলোর সমান অংশীদার নারী-পুরুষ সবাই। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। এই নারী কে? আমার মা, স্ত্রী, কন্যা। নারীর কোনো রূপকে খাটো করে দেখার অধিকার কারো নেই। ধর্মীয় বইপুস্তকেও নারীকে অনেক উঁচুতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যদি আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করি তবে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ প্রতিরোধ করতে হবে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, শুধু শারীরিক নয়, মানসিক নির্যাতনও প্রতিরোধ করতে হবে। বাল্যবিবাহ সহিংসতারই বহিঃপ্রকাশ। যার বাল্যবিবাহ হয় তাকে শৈশবেই হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, তিনটি উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছিল- সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবসত্ত্বার জন্য। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নয়, মানবাধিকার রক্ষার জন্য।