বিএনপির পৌর নির্বাচনে থাকা নিয়ে আ. লীগের সংশয়
পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায় বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে নাও থাকতে পারে। তাঁদের যে নির্বাচন বয়কটের অভ্যাস আছে, সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। যেমনটা আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছি।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিএনপি জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনের সুষ্ঠতা নির্ণয়ে রেফারি হলো গণমাধ্যম।’ তিনি বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করব, শেষ ভোট গণনা পর্যন্ত নির্বাচনে থাকুন। নির্বাচন বয়কটের মতো কিছু করবেন না। নির্বাচন বিতর্কিত হলে খালেদা জিয়ার লাভ কি? নির্বাচন বিতর্কিত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচন বিতর্কিত হলে খালেদা জিয়ার কিছু হবে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনারও কিছু হবে না। আমরা গণতন্ত্রকে বিতর্কিত করতে দিতে পারি না।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ জয় লাভ করলে কিছু হবে না। একটিতেও জয়লাভ না করতে পারলেও কিছু হবে না। সরকার পরিবর্তন হবে না। সরকার পরিবর্তন হবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে। তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ করে থাকে। কোনো অভিযোগের সত্যতা পাইনি। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিতর্কিত করলে আবার তা ফিরিয়ে আনা অনেক সময়ের বিষয়।’
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের খালেদা জিয়ার দাবি প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতে কোনো দিন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন হয়নি। আগামীতেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘উনি (খালেদা) শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করে কথা বলছেন। এইগুলো তো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইস্যু না। ৪৪ বছর আগে শহীদ হয়েছে। উনি এইগুলো বলেন, কারণ উনি দেশকে ভালোবাসেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেন না।’ তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে মানসিক অবস্থা উনি কিন্তু একলাইন লিখতে পারেন না। সুস্থভাবে চিন্তা করতে পারেন না। পৌর নির্বাচনের পর সরকার পতনের আন্দোলন-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি (খালেদা) এটা ১৯৯৬ সাল থেকে দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান খান, কৃষি সম্পাদক ডা. আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।