১৮টির পরিবর্তে দুটি স্থানে সমাবেশ করবে আ.লীগ
জনদুর্ভোগ লাঘবে রাজধানীর ১৮টি স্থানের পরিবর্তে শুধু বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও রাসেল স্কয়ারে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আজ সোমবার এনটিভিকে দুটি স্থানে সমাবেশ করার তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে মাহবুব-উল আলম হানিফ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে জানিয়েছিলেন, ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না পেলে তাঁরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করবে। পাশাপাশি ওই দিন দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর ১৮টি স্থানে সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, ঢাকার সংসদ সদস্য ও দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানানো হয়।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করবে। অপরদিকে তিনি ৫ জানুয়ারি ‘অনুতপ্ত দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের নামে বিএনপি আবারও জ্বালাও-পোড়াও করলে জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমুচিত জবাব দেবে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হোক এমন কোনো কর্মসূচি আওয়ামী লীগ করবে না এবং অন্য দলকেও করতে দেবে না বলেও জানান হানিফ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি অংশ নেয়নি। ৩০০ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পরে ৫ জানুয়ারির ভোটের মধ্য দিয়ে দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ওই নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে। সরকারের মন্ত্রিসভায়ও তাদের সদস্য রয়েছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত মনোনীত হন।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ভোট বর্জন করে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয়। এ আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ২০১৫ সালেও ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে সারা দেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে।
এবারও বিএনপি ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ তাদের শর্তসাপেক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।