৭২ ঘণ্টার মধ্যে ট্যানারি না সরালে কারখানা বন্ধ
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর না করলে সেখানকার কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আজ রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মন্ত্রী আজই বিসিককে ট্যানারি মালিক বরাবর উকিল নোটিশ পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও কোনো ট্যানারি মালিক হাজারীবাগ থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে তাঁর নামে বরাদ্দ করা প্লটও বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্প খাতের উন্নয়নে সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম মূল্যায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর অর্থছাড় ও ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রতি ১০ দিন পরপর সংস্থার প্রধানদের নিয়ে মূল্যায়ন সভা ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য শিল্প সচিবকে নির্দেশনা দেন। তিনি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ বাস্তবায়নেরও বিষয়ে আরো তৎপর হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেন।
সভায় সাভারে বাস্তবায়নাধীন চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়নকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) কাজ শুরু করতে হবে। তিনি জানান, যেসব ট্যানারি মালিক নির্মাণকাজে বিলম্ব করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন, তাঁদের হাজারীবাগের কারখানার মালামাল ক্রোক করা হবে।
সভায় ভোক্তা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটকে (বিএসটিআই) নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে লবণ আমদানিকারকদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের কার্যক্রম তদারকি এবং বাজারে মধুর গুণগতমান পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।