নারায়ণগঞ্জে পাঁচ খুনে ‘পরিচিতরা’ থাকতে পারে
নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার সঙ্গে পরিচিত লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে শহরের বাবুরাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
পরে ওই দুই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরিচিতরা জড়িত থাকতে পারেন। তবে এ ঘটনার বিভিন্ন সম্ভাব্য কারণ বিবেচনায় রেখে তদন্ত চলছে বলেও জানান তাঁরা।
শনিবার ছয়তলা ভবনের নিচতলায় নৃশংসভাবে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোরশেদ, তাঁর বোন তাসলিমা, তাসলিমার জা লামিয়া, দুই শিশু সুমাইয়া ও শান্ত। নিহতদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত তাসলিমার স্বামীর ভাগ্নে মাহফুজ, তাসলিমার বোনের ছেলে শাহজাদা ও নিহত লামিয়ার স্বামী শরীফকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, র্যাবের ডিজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, ‘আপাতত মনে হচ্ছে, যারা বাসার সঙ্গে পরিচিত, তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। বাইরে থেকে গিয়ে এ ঘটনা ঘটানো কঠিন কাজ।’
নিহত মোরশেদের মা মোরশেদা বেগম পাগলপ্রায়। ছেলের এক বন্ধু কয়েক দিন আগে ছেলের কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছিল বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।