ক্রিকেটার শাহাদাত দম্পতির অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ দিন নির্ধারণ করেন। আজ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের এবং শাহাদাত ও নিত্যর হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে তাঁরা হাজির হতে না পারায় তাঁদের আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার আদালতে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রটি উপস্থাপন করলে তিনি মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ঢাকার সিএমএম শেখ হাফিজুর রহমানের বরাবরে পাঠানোর আদেশ দেন। এখান থেকে সিএমএম আদালত কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এ বিচারের জন্য পাঠান। এ মামলায় বর্তমানে শাহাদাত ও নিত্য দুজনই জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে স্ত্রী নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম হ্যাপি।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর একই দিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করেন সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হক। এরপর তাকে মিরপুর থানায় নিলে সেখানে হ্যাপি অভিযোগ করে, শাহাদাতের বাসায় তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একই সঙ্গে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে সাংবাদিক মোজাম্মেল হক ক্রিকেটার শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকেই স্ত্রীসহ শাহাদাত পলাতক ছিলেন ।
এদিকে এই ঘটনার জের ধরে শাহাদাতকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।