জনগণের রুদ্ররোষে পুড়বে বিএনপি-জামায়াত : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বোমাবাজি, জনগণকে পুড়িয়ে মারা এবং অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াতের প্রতি আহ্বান’ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অন্যথায় জনগণের রুদ্ররোষে তাদের পুড়ে মরতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই।’
প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ককটেল ও পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা আন্দোলন হতে পারে না। এগুলো জঙ্গি কর্মকাণ্ড।’
বাসস জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতাল আহ্বানের জন্য বিএনপি-জামায়াতের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সোমবার হরতালের কারণে সরকার ওই দিনের পরীক্ষা শুক্রবারে স্থানান্তর করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারি না। যারা এই ধরনের জঙ্গি কর্মকাণ্ড করছে তারা মানুষ নয়। তাদের মধ্যে কোনো মানবতা বোধ নাই। তারা শিশুদের জীবনের ব্যাপারে পরোয়া করে না। আমরা দেশে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাদের বোমা হামলা থেকে দুই বছরের শিশুও রেহাই পায়নি। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক আমাদের জন্য।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৪’ তুলে দেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জার্মান সাহিত্যিক হ্যান্স হার্ডার, বেলজিয়ামের সাহিত্যিক ফাদার দতিয়েন, ফরাসি লেখক অধ্যাপক ফ্রান্স ভট্টাচার্য এবং ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট গবেষক ড. পবিত্র সরকার বক্তব্য দেন।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, এবার মেলায় মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৬৫টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমির বই ৩০% কমিশনে এবং ২০০০ সালের আগের বই ৭০% কমিশনে, এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় প্রবেশপথে আর্চওয়ে ৭৫টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।