পুলিশের বিচার করতে হবে দ্রুত বিচার আইনে
পুলিশের নির্যাতনে চা বিক্রেতা মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দ্রুত বিচার আইনে করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ আহ্বান জানান। তিনি ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন।
urgentPhoto
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘দায়ী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার বা ঘটনা তদন্ত নয়, চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিচার করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘অবিলম্বে ফৌজদারি অপরাধে ৩০২ ধারায় এফআইআর (এজাহার) কইর্যা প্রত্যেককে অ্যারেস্ট কইর্যা আদালতে সোপর্দ করেন মানুষ দেখুক যে, আইন পুলিশের লেইগাও আছে। এটাকেই বলে সুশাসন। জাস্টিস নট অনলি টু বি ডান, জাস্টিস মাস্ট বি সিম টু বি ডান (ন্যায়বিচার দেখালেই হবে না, দেখাতে হবে ন্যায়বিচার হয়েছে)।’
সাবেক রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এরা গেছে গিয়া... আপনার পুলিশ, স্টোভ জ্বলতেছে এইটার ওপরে বাড়ি মাইর্যা দিল, জ্যান্ত মানুষটারে পুইড়্যা মাইর্যা ফালাইল। চান্দা দেয় নাই দেইখ্যা? এরপর আবার তদন্ত লাগবে এইটার? মানুষ যার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে, সেই পুলিশ যেখানে জড়িত, তাকে শাস্তি দিয়া চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে আপনারা এই এক মাসের মধ্যে এইটা শেষ করেন।’
গত বুধবার রাতে শাহ আলী থানার গুদারাঘাট এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতের জেরে চুলার আগুনে চা বিক্রেতা বাবুল মাতব্বর দগ্ধ হন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশ তাঁকে হয়রানি করে আসছিল।
এই ঘটনার জের ধরে শাহ আলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। তাঁরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান খান, এ কে এম নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।