জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে ভোগান্তিতে সরকারি চাকরিজীবীরাও
নির্দিষ্ট ফি দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন করতে হচ্ছে। তবে এ-সংক্রান্ত সেবার মানের কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ভোগান্তি আছে আগের মতোই।
নতুন নির্দেশনার কারণে সরকারি চাকরিজীবীরাও তাঁদের পরিচয়পত্রের সংশোধন করতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন তাঁরা।
urgentPhoto
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে আগে একটিমাত্র জায়গা ছিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসলামী ফাউন্ডেশন ভবনে অবস্থিত জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে। এখন নিজ নিজ উপজেলা থেকে এর আবেদন করা যায়। তারপরও কমেনি চাপ এই প্রকল্প অফিসে।
সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে-স্কেলের বেতন পেতে তাদের সার্ভিস বুকে দেওয়া তথ্যের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের গরমিল থাকলে আটকে যাচ্ছে বর্ধিত বেতন। এ কারণে বাধ্য হয়ে আসছেন অনেকে।
ভুক্তোভোগী একজন বলেন, ‘আমি একজন সরকারি কর্মচারী। আমার সার্ভিস বুক ফটোকপি করে দেওয়া আছে। সেখানে বয়স নির্ধারণ করা আছে। আমার প্রত্যয়নপত্র দেওয়া আছে। আমার অফিস সুপারিশ করেছে। তারপরও তিন মাস ঘোরানোর পর আমাকে বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের সুপারিশ লাগবে।’
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ভিড়টা একসঙ্গে পড়েছে। সরকারি তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্রে গরমিলটা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা রাত ৮টা, ৯টা, এমনকি ১০টা পর্যন্তও কাজ করছি। ছুটির দিনেও কাজ করছি।’
গত দুই মাসে প্রায় আড়াই লাখ সরকারি চাকরিজীবীর পরিচয়পত্রে সংশোধন সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়েছে বলে সালেহ উদ্দিন জানান।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে নির্দিষ্ট ফি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই অর্থ দিয়ে কি বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘টাকা দিয়ে করালে যে সেবার মান বাড়বে কিংবা কমবে বিষয়টা তো সেটা না। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশন থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে না। এটা সরাসরি সরকারের কোষাগারে চলে যাচ্ছে।’
শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। এতে ভোগান্তি কমে আসবে বলে সালেহ উদ্দিন মনে করেন।