মামলায় উদ্বিগ্ন লতিফ আইনমন্ত্রীর শরণাপন্ন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগে একের পর এক মামলা হচ্ছে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। তাই আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেছেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের একাধিক সংসদ সদস্যকে।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘আমি তাঁর মামলা নিয়ে, তাঁর বিষয় নিয়ে কিছু ভাবছি না (আই অ্যাম নট কনসার্নড অ্যাবাউট হিজ কেস অ্যান্ড ম্যাটার)।’
সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হওয়ার সময় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় এম এ লতিফের। আগমনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখেন তো অবস্থা? কুচক্রী মহল আমাকে অযথা হয়রানির জন্য মামলা দিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনকের ছবি বিকৃত করে আমার দেহের সঙ্গে লাগিয়ে তারা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাইছে। শুনেছি, আজকেও নাকি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
কারা এসব করছে—জানতে চাইলে এম এ লতিফ বলেন, ‘বন্দরসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে যারা অবৈধ সুবিধা নিতে পারছে না, তারাই জাতির সামনে আমাকে হেয় করার ও আমার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই অপকর্ম করে যাচ্ছে।’
সংসদ সদস্য এম এ লতিফের আগমন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার কাছে তো অনেক এমপিই বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসেন। কে কোন কাজ নিয়ে এলেন, তা তো মনে রাখা যায় না। তবে এমপি লতিফের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটা আইন ও আদালতের বিষয়। তাঁর বিরুদ্ধে যদি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা কেউ করতে চান, তবে সেটা অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির অভিযোগে ৪ ফেব্রুয়ারি এম এ লতিফের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের উপকমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম ফরিদ আলম।
আজ এম এ লতিফের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সকালে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা ও অভিযোগ দায়ের করা হয়।