নিয়োগ পাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষক
জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষককে নিয়োগের বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে গণশিক্ষা অধিদপ্তরের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এর ফলে ওই শিক্ষকদের নিয়োগে আর কোনো বাধা রইল না।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেত্বত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন—বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান খান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৪২ হাজার ৬১১ জনকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হিসেবে তালিকা প্রকাশ করে অধিদপ্তর।
নিয়ম অনুযায়ী, উত্তীর্ণদের ২০০৯ সালের গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু নীতিমালা ভঙ্গ করে ১০ হাজার ৪৯৪ জনকে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ৩২ হাজার প্রার্থী নিয়োগের অপেক্ষায় থাকেন।
পরে নওগাঁ জেলার ১০ প্রার্থী এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করলে ২০১৪ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট সরকারের দেওয়া ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে উপজেলাভিত্তিক নিয়োগের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গণশিক্ষা অধিদপ্তর আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে গত বছরের ৭ মে গণশিক্ষা অধিদপ্তরের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে গণশিক্ষা অধিদপ্তর। শুনানি শেষে আজ পুনর্বিবেচনার আবেদনটিও খারিজ করে দেওয়া হয়। এর ফলে ওই ১০ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হচ্ছে সরকারকে।