মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি খালেদা জিয়ার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দাবি করেছেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদককে এখনো আটক রেখে আদালত অবমাননা করছে সরকার। মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদসহ আটক সব সাংবাদিকের মুক্তির দাবি করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামালের পাঠনো বিবৃতিতে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মিথ্যা মামলায় আটক থাকার পর আপিল বিভাগসহ বিভিন্ন আদালত থেকে প্রায় ৭০টি মামলার সবগুলোতে জামিন লাভের পরও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, নির্যাতিত ও সাহসী সাংবাদিক-লেখক মাহমুদুর রহমানকে আরেকটি মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক রাখার এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়ার কথা জেনে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি এই ন্যক্কারজনক ও নির্লজ্জ নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং একজন সাহসী সম্পাদককে যেকোনো মূল্যে আটক রাখার অপপ্রয়াসের নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আর কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেওয়ার পরও মাহমুদুর রহমানের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রাখতে এবং তাঁর কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতেই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন মঞ্জুরের পর তাঁকে আরেকটি মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর পদক্ষেপ ধৃষ্টতামূলক ও আদালত অবমাননার শামিল বলে আমি মনে করি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমার দেশসহ অনেক সংবাদপত্রের প্রকাশনা এবং বেশ কটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। হামলা-মামলাসহ নানামুখী ভয়ভীতি দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে শাসক মহল তাদের অপকর্ম ও গণবিচ্ছিন্নতা আড়াল করে রাখতে চায়।’