শ্রমিক পাঠানোর নামে টাকা হাতাতে চেয়েছে আ. লীগ : নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করেছিল আওয়ামী লীগের লোকজন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে নোমান এ অভিযোগ করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুট করে নিজেদের উন্নয়ন করছে আওয়ামী লীগ। মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে- গত পরশু এই খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমরা দেখলাম। কিন্তু মালয়েশিয়া এর প্রতিবাদ করেছে। তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। তারা বলেছে, আমরা ১৫ লাখ শ্রমিক আনব এ কথা সঠিক নয়। হয়তো বা বিভিন্ন এলাকায় এজেন্ট দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের লোকেরা মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করার রাস্তা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।’
এ সময় নোমান জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল আখ্যা দিয়ে এ ভূমিকা পরিহার করে সংসদ থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার সমঝোতা স্মারকের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়া হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রির মতো বাংলাদেশ থেকে সেবা, নির্মাণ, কৃষি, প্ল্যান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত হলো। অতীতে শুধু প্ল্যানটেশন সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ ছিল।
তবে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার জন্য এ চুক্তির একদিন পর গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নিচ্ছে না। এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশে ১৫ লাখ শ্রমিক আনার খবরটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের রেজিস্টার করা শ্রমিকের সংখ্যা, যারা বিশ্বব্যাপী ১৩৯টি দেশে কাজ করতে আগ্রহী।’