শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হলো না স্কুলছাত্রীর
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামের কাবুল হোসেনের মেয়ে আঁখি আক্তার। ২১ ফ্রেব্রুয়ারির আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সহপাঠী খায়রুন, নিপা, শারমিনকে নিয়ে বাড়ির পাশে নাসিরুলের ইসলামের বাড়িতে ফুল তুলতে যায় সে।
ওই সময় বাগান মালিক নাসিরুল ইসলাম তাদের ভয়ভীতি দেখান ও মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর রাতেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে আঁখি।
আঁখি সদর উপজেলার ভগতগাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনার পর বাসায় তালা দিয়ে বাগান মালিক নাসিরুল ইসলামসহ তাঁর পরিবারের সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন।
আঁখির পরিবারের অভিযোগ, নাসিরুল ইসলাম ওই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বড় ভাই হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা চালায় প্রভাবশালী একটি মহল।
ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলার আগেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আঁখির মা ও তার সহপাঠীরা। এমন দুর্ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঁখির বাবাকে উদ্ধৃত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টা হলো, মেয়ের বাবা বলল যে, ফুল তুলতে গেছে। ফুল তুলে আসি ঘরের দরজা লাগায়া দিসে। আমরা বাড়ি ছিলাম না। বাজারে ছিলাম। আমি আসি ডাকাডাকি করে দরজা খোলে না।’
‘এখন বিষয়টা আমি দেখতেছি। আইনগত কী ব্যবস্থা হয়, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, যোগ করেন এসআই।