বাঘায় এসএসসি পরীক্ষায় নকল, ১১ শিক্ষক কারাগারে
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এসএসসির গণিত বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল তৈরি ও সরবরাহের অভিযোগে আটক ১১ শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর বাঘা থানা পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ নির্দেশ দেন আদালত।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, দুপুরে এসএসসির গণিত পরীক্ষা চলাকালে বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৯২-এর ৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ১২ জন হলেন- জোতনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আলী, বানিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, জোতনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিল্লুর রহমান, ফারুক হোসেন, দাদপুর গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিল্লুর ইসলাম, চণ্ডীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্তারুজ্জামান, শাপলা খাতুন, বারোখাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর মোল্লা, পলাশী ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাখাওয়াত এবং বহিরাগত শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আব্দুল কাদের একই বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে বাঘা থানা থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব দেন। এসএসসির গণিত পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রশ্নপত্র থানা থেকে নিয়ে আসার পথে একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আটক শিক্ষকদের কাছে সরবরাহ করেন। এরপর পরীক্ষা চলাকালে বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত ‘প্রচেষ্টা ৯২’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যালয়ে বসে প্রশ্নপত্র দেখে নকল তৈরি এবং তা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করছিলেন ওই শিক্ষকরা। বিষয়টি জানতে পেরে বাঘা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মুজিবুল ইসলাম ও বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ১১ শিক্ষকসহ ১২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।