হঠাৎ বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
প্রতিবছরের মতো এ বছরেও দেশের পেঁয়াজের চাহিদার একাংশ মেটাতে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন ফরিদপুরের চাষিরা। কৃষকের আশা ছিল, পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। কিন্তু গতকাল বুধবার দুপুরের হঠাৎ বৃষ্টি কৃষকদের আশায় আক্ষরিক অর্থই যেন পানি ঢেলে দিয়েছে।
বৃষ্টির কারণে জেলার নগরকান্দা, সালথা ও বোয়ালমারী উপজেলার মাঠে থাকা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই ফরিদপুরের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরের আগে শুরু হয় বৃষ্টি। কোথাও দেড় ঘণ্টার বেশি সময় বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ফসলের মাঠে পানি জমে যায়। প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ, গমসহ অন্য ফসল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের। পেঁয়াজ ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ার ফলে এ বছর ফলনে বিপর্যয় ঘটবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন এসব উপজেলার পেঁয়াজচাষিরা। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ ছাড়াও মাঠে থাকা সব ধরনের ফসলই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
হঠাৎ এই বৃষ্টির কারণে দুই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর পেঁয়াজ ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমিতে পেঁয়াজ গাছ উপড়ে গেছে, গাছের ফুলে ডগা ভেঙে গেছে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৩৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করা হয়েছিল। এর মধ্যে সালথা উপজেলায় ১০ হাজার ৬৬৩ হেক্টর এবং নগরকান্দায় ছয় হাজার ২৭৭ হেক্টর।
নগরকান্দার ফুলসূতি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইসকেন্দার জানান, আগামী কয়েক দিনে পর্যাপ্ত রোদ উঠলে এসব ক্ষতিগ্রস্ত চাষির মুখে কিছুটা হাসি ফিরে আসতে পারে। তবে কী পরিমাণ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি। বৃষ্টির পর ফসলের অবস্থা নির্ণয়ের কাজ চলছে, এরপরই জানা যাবে প্রকৃত অবস্থা।