মাহফুজ আনাম মাহাত্ম্যের পরিচয় দিয়েছেন
‘অসত্য ও বিকৃতি তথ্য’ প্রকাশের ঘটনায় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ‘ক্ষমা চেয়ে’ মাহাত্ম্যের পরিচয় দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভায় যোগ দেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু অসত্য, বিকৃত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। অসত্য, বিকৃত তথ্য দিয়ে উনি (মাহফুজ আনাম) ক্ষমা চেয়ে ওনার একটা মাহাত্ম্যের পরিচয় দিয়েছেন। সেটার যেমন প্রশংসা করি ঠিক তেমনিভাবে অসত্য, বিকৃত তথ্যের কারণে যারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের যে অভিযোগ সেই অভিযোগের প্রতিকারটা কী, সেটা তো ভেবে দেখা দরকার।
এটা, আমার তো মনে হয় আইনের ওপর ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো। এখানে তাই বিচারাধীন হয়েছে, মামলা চলে গেছে সে ব্যাপারে আমি তো আদালতের হয়ে কোনো কথা বলতে পারি না।’
মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থার দেওয়া বিবৃতিকে আশ্চর্যজনক বলে উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান। তিনি জানান, এসব মামলা প্রত্যাহারের এখতিয়ার সরকারের নেই। অতি উৎসাহী ব্যক্তিরা মামলা করলে রাষ্ট্রের কিছুই করার থাকে না।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. ইরশাদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেপালের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ড. যুবরাজ সাংগ্রুলা, নবপ্রতিষ্ঠিত আইন অনুষদের সমন্বয়ক অধ্যাপক জাকির হোসেন বক্তব্য দেন।
মাহফুজ আনাম গত ৩ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রশ্নের মুখে স্বীকার করেন, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর’ যাচাই ছাড়া প্রকাশ করে সাংবাদিকতা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার সাংবাদিকতার জীবনে, সম্পাদক হিসেবে ভুল, এটা একটা বিরাট ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।’
ওই অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনাম কোনো ধরনের ক্ষমা চাননি। তিনি শুধু ভুল স্বীকার করেছেন। কিন্তু আজ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান দাবি করেন, মাহফুজ আনাম ক্ষমা চেয়েছেন।