আলামত পরীক্ষায় পুলিশকে আদালতের অনুমতি
রাজধানীর বনশ্রীতে ভাইবোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জব্দকৃত আলামত, ডিএনএ প্রোফাইলিং ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোমেন কুমার বড়ুয়া জব্দকৃত আলমত, ডিএনএ প্রোফাইলিং ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলাম এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত সোমবার দুপুরে বনশ্রীর বাসায় আমানুল্লাহ ও মাহফুজা মালেক জেসমিনের মেয়ে নুসরাত আমান অরণী ও ছেলে আলভী আমানকে এক বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নুসরাত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণিতে ও আলভী হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারিতে পড়ত।
শিশু দুটির পরিবার থেকে প্রাথমিক অবস্থায় জানানো হয়েছিল, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা জানান, মা-বাবার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে গত রোববার রাতে বনশ্রীর একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে তারা সবাই রাতের খাবার খান। অবশিষ্ট খাবার বাড়িতে নিয়ে ফ্রিজে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে নুসরাত ও আলভী সেই খাবার খেয়ে ঘুমানোর পর আর জেগে ওঠেনি।
তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কর্তৃপক্ষ জানায়, শিশু দুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নুসরাত ও আলভীর দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর আজ জামালপুর থেকে তাঁদের মা-বাবা ও খালা মিলাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার নিজ বাড়িতে এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যাব সদস্যরা।