মন্ত্রীর বক্তব্যে বিচারকাজে প্রভাব পড়ে না : অ্যাটর্নি জেনারেল
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালত নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘কোনো মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ বা আইনজীবীর বক্তব্যের কারণে বিচারকাজে প্রভাব পড়ে না, পড়বে না।’
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত বিচারকাজ করে থাকেন। আমি আশা করছি, মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীর চরম দণ্ড বহাল থাকবে। অন্যান্য মামলার মতো এ মামলায়ও লিখিতভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। আশা করি, আগামীকাল আদালত ন্যায়বিচার ঘোষণা করবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিম্ন আদালতে যে রায় হয়েছে, তা আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে, তার কোনো কথা নেই। তাহলে তো আপিল বিভাগ থাকার দরকার নেই।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও কাদের মোল্লার রায়ের কথা বলেন। সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতে তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন, উচ্চ আদালতে তাঁর ফাঁসির দণ্ড হয়েছিল।’
প্রধান বিচারপতি নিয়ে দুই মন্ত্রীর মন্তব্যের ব্যাপারে আদালতে লিখিত অভিযোগ করবেন কি না—জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
গত শনিবার রাজধানীতে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সেমিনারে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় নিয়ে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলেও সে সময় এক মন্ত্রী পরামর্শ দেন।
একই সঙ্গে মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।