বুদ্ধির জোরে কিশোরীর মুক্তি
উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ভারতে পাচার হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে এক কিশোরী। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাবু (২৭) নামের এক যুবক আজ রোববার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় তিনবিঘা করিডর দিয়ে ওই কিশোরীকে পাচার করার চেষ্টা করে। তবে কিশোরী নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে চলে আসে।
কিশোরী বিজিবি সদস্যদের জানায়, তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে। সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাবু নামের ওই যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে প্রেম হয়। গত শনিবার বাবুর সঙ্গে দেখা করার জন্য সে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যায়। ওই দিন বিভিন্ন জায়গায় বেড়িয়ে পাটগ্রামের দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের পাশের এক বাড়িতে ভাইবোন পরিচয়ে আশ্রয় নেয় তারা।
পরের দিন বাড়ি ফেরার কথা বলে তাকে রেলস্টেশনের দিকে না নিয়ে বাবু তিনবিঘা করিডর দিয়ে ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়ে। কিছুদূর না যেতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ক্যাম্প নজরে আসে কিশোরীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে সে বাবুর হাত ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে চলে আসে। এরপর থেকে বাবু পলাতক।
কিশোরী কেবল জানে বাবুর বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। এর বাইরে বাবু সম্পর্কে আর কোনো তথ্য সে দিতে পারেনি। বিজিবি সদস্যরা কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে দিয়ে আসে। কিশোরীর বাবা এনটিভিকে বলেন, ‘আমার মেয়ের সর্বনাশ করতে চেয়েছিল যে প্রতারক আমি তার বিচার চাই।’
দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আক্কাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এনটিভিকে বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ আলম এনটিভিকে বলেন, ‘কিশোরীকে হস্তান্তর করে প্রতারক বাবুকে গ্রেপ্তারে হাতীবান্ধা থানাকে অনুরোধ করা হয়েছে।’