আপিল বিভাগের নোটিশের জবাব দেবেন খাদ্যমন্ত্রী
আদালত অবমাননার অভিযোগে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জারি করা আদালত অবমাননার নোটিশের জবাব দেবেন তিনি। এ জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে কিছুটা সময় চাইবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাকে হাজির হতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি জেনেছি। হয়তো নোটিশও পেয়ে যাব। আমি সব কারণ উল্লেখ করে জবাব দাখিল করব। তবে আজ আমি একটি সম্মেলনে যোগ দিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছি। মালয়েশিয়া থেকে ১৬/১৭ তারিখে (মার্চ) ফিরে এসে আমি জবাব প্রস্তুত করব।’ আপিল বিভাগ তাঁকে আগামী ১৫ মার্চ সকাল ৯টার মধ্যে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আস্থাহীনতা ও রায় নিয়ে শঙ্কা কিসের ভিত্তিতে প্রকাশ করেছিলেন, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। এই প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব কথা আমি লিখিত জবাবে আদালতে দাখিল করব।’
মীর কাসেম আলীর রায় প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মীর কাসেম আলী একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। এই যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে তিনি লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। আন্তর্জাতিক আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের মতো মানুষকে তিনি লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল রাখায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোর জসিমসহ ছয়জনকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসি বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া আজ রঞ্জিত দাস, টুন্টু সেন হত্যার দায় থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে সাত কার্যদিবসে এ মামলার শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।