ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ : পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যাবে
ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সেটির অপব্যবহার করলে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সার্বিক আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারবে। তবে এটির অপব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দেশে নাগরিকদের কাছ থেকে যেকোনো বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ নিতে পারবে। ২০০৬ সালের বিধিমালায় এটি উল্লেখ আছে।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দাবি করেছেন, ‘দেশে জঙ্গি তৎপরতা আছে, সেটি সরকার স্বীকার করুক আর না করুক। আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল, দেশে জঙ্গি আছে।’ তিনি বলেন, ‘জঙ্গি থাকার কারণেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসেনি। আদালত বলেছেন, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্য নিতে পারবে। তবে পুলিশ যদি এ তথ্যের অপব্যবহার করে, সে ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার ব্যক্তি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন।’
গত ৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
তার আগে গত ১ মার্চ ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সঠিক সময়ে এ নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্মতারিখসহ বাসার বাসিন্দা, গৃহকর্মী ও চালকের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লোগোসংবলিত ওই ফরমের ফটোকপি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার তা সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা।