মামলা বাতিল চেয়ে তারেক সাঈদের আবেদন খারিজ
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতার করা মামলা বাতিল চেয়ে র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপলি করবেন বলে জানিয়েছেন তারেক সাঈদের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া।
মামলা বাতিল চাওয়ার কারণ হিসেবে গোলাম কিবরিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি মামলা করার ১২ দিন পর নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার মামলা করেন। একই ঘটনায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলতে পারে না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তাই এটি বাতিল করা প্রয়োজন। এই যুক্তিতে দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত রোববার মামলার শুনানিতে গোলাম কিবরিয়া বলেন, একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। একই ঘটনায় একই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। একই জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে। একই সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। তাই একই ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ৫৬১(ক) অনুযায়ী মামলা চলতে পারে না।
এর আগে গত ৭ মার্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি ইমদাদুল হক ও বিচারপতি এ এস এম নাজমুল আহসানের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি নতুন করে বেঞ্চ গঠনের পর এই আবেদনের নতুন করে শুনানি শুরু হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৬১ (ক) ধারায় মামলা বাতিল চেয়ে আবেদনটি দায়ের করা হয়। নারায়গঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এই মামলা করেছিলেন। আবেদনে ওই মামলা বাতিল চাওয়া হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন।