২৭ মার্চ আবারও হাজির হতে হবে দুই মন্ত্রীকে
দুই মন্ত্রীর আদালত অবমাননার রুলের শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ২৭ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আবারও সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার রুলের লিখিত জবাব দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল। সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করেন দুই মন্ত্রী।
সকাল সোয়া ৯টায় শুনানি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এজলাসে বসে পড়েন। তবে চার-পাঁচ মিনিট দাঁড়ানোর পর আইনজীবীর মাধ্যমে বসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে খাদ্যমন্ত্রীকে বসার অনুমতি দেন আদালত।
কামরুল ইসলামের লিখিত জবাবে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়নি জানিয়ে আবারও তাঁকে তা দাখিলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ।
শুনানিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক আর কামরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
গত ১৫ মার্চ খাদ্যমন্ত্রীর পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগে আ ক ম মোজাম্মেল হক ও কামরুল ইসলামের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত নিয়ে মন্তব্য করায় এরই মধ্যে দুই মন্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করেছেন।
গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। তবে খাদ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন এক মন্ত্রী।
একই সঙ্গে মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানান দুই মন্ত্রী।